শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪ ০০:০০ টা

কর্ণফুলী-মহুয়া ট্রেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছে না

কর্ণফুলী-মহুয়া ট্রেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাচ্ছে না

কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের টেন্ডার লিজ প্রক্রিয়া নিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডিজি দফতরের কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এতে এ ট্রেন দুটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া-না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসস ও ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চলাচল করার কথা থাকলেও সিসিএম দফতরের এক কর্মচারীর সহযোগিতায় কৌশলে টিএম ট্রেডিং ও এসআর ট্রেডিং নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। এত বড় একটি টেন্ডারের কাজ ওয়েবসাইটসহ পুরাতন ঠিকাদাররা কোনো ধরনের টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিষয়ে অবগত নন বলে অভিযোগ করেন একাধিক ঠিকাদার। রেলপথ মন্ত্রী মো. মজিবুল হক এমপি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও মহুয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের লিজ দেওয়ার বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে রেলের অনেক উন্নতি হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনাও করা হয়েছে এবং হচ্ছে। দরপত্র গ্রহণকারী রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) শাহ জহিরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিষয়টি সম্পর্কে পূর্বাঞ্চলের জিএম ও সিসিএম বিস্তারিত বলতে পারবেন। আমি অবগত নই।' রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) বেলাল উদ্দিন বলেন, লোকবলসহ নানান সংকটের কারণে কর্ণফুলী ও মহুয়ার লোকসানের পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য রেলওয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে কিছু দিন আরেকটি প্রতিষ্ঠান ট্রেন পরিচালনা করে এলেও লোকসানসহ বিভিন্ন কারণে আদালতে মামলা করে ওই প্রতিষ্ঠান। নিয়মতান্ত্রিকভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে বেসরকারি খাতে দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতার সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। তবে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবের নির্দেশ থাকায় এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ দুটি ট্রেনের টিকিটিংব্যবস্থা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দিয়ে দেওয়ার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হলে রেলওয়ে অনেক বেশি লাভবান হবে। দীর্ঘ তিন বছর পর এবার এ ট্রেন দুটি বেসরকারিভাবে চলে এলে ক্ষতির বা লোকসানের পরিমাণ কমে আসবে। দুই মাস আগে কর্ণফুলী ট্রেন ও তিন মাস আগে মহুয়া এঙ্প্রেস ট্রেনের টেন্ডার আহবান করা হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর