ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানার টয়লেটে গিয়ে এক আসামি চারটি সোনার বার পেট থেকে বের করে নিয়ে এলেন। গতকাল এ ঘটনা ঘটিয়েছেন রাজধানীর বিমানবন্দর থানার আসামি আরিফ উল্লাহ মুন্সি। পরে বিকালে হাজতখানায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ‘আসামি সোনার ডিম পেড়েছে’ বলে হাস্যরস করতে দেখা যায়। জানা যায়, আসামিকে হাজতখানায় রাখার পর থেকে তিনি মোড়ামুড়ি করছিলেন। পরে পেটব্যথার কথা বলে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর তার আচরণে সন্দেহ হয়। পরে তার প্যান্টের পকেট তল্লাশি করে চারটি সোনার বার পাওয়া যায়। এ সময় ঘটনার কথা স্বীকার করে আসামি বলেন, মলের সঙ্গে বেরিয়ে আসা সোনার বার টয়লেটে বসে ধুয়ে পকেটে ঢোকানো হয়েছে। আদালতে পরিচিত কাউকে কাছে পেলে তার মাধ্যমে সেগুলো পাচার করার পরিকল্পনা ছিল। এই চারটি সোনার বারের আনুমানিক ওজন ৪০০ গ্রাম। এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
জানা গেছে, আসামি আরিফ উল্লাহ মুন্সি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মোহাম্মাদ উল্লাহ মুন্সির ছেলে। রবিবার সকালে মালয়েশিয়া থেকে তিনি বিজি-০৮৭ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। পরে বিমানবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ তার দেহ তল্লাশি করে ৩০০ গ্রাম ওজনের তিনটি সোনার বার, এক বোতল বিদেশি মদ এবং ৬৮ কার্টন সিগারেট উদ্ধার করে। এরপর তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় গতকাল বিমানবন্দর থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ আসামি আরিফ উল্লাহ মুন্সিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানির আগে আসামিকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। তখন আসামি আরিফ হাজতখানার টয়লেটে যান।