শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

তারেক বিচারককে ঘুষ দিয়েছিলেন তিন কোটি টাকা : শেখ সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক

তারেক বিচারককে ঘুষ দিয়েছিলেন তিন কোটি টাকা : শেখ সেলিম

আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এক বিচারককে তিন কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে চোর। টাকা পাচার করে বাইরে নিয়ে গেছেন। তারেক বিচারের সময় মোতাহার নামের এক বিচারককে তিন কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে কোনোমতে তাকে বাঁচাতে বলেছিলেন। ওই বিচারক করলেন কী! যেদিন রায় দিলেন সে রাতেই পালিয়ে গেলেন। কারণ তিনি ঠিকমতো রায়  দেন নাই। শেখ সেলিম গতকাল দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার আদর্শ সাইকা, সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক ডি এন চ্যাটার্জি, সদস্যসচিব শ্যামল কুমার রায়, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মণি, তাপস কুমার পাল প্রমুখ। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সাম্প্রতিক জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন কিনা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এমন শঙ্কা প্রকাশ করেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে শেখ সেলিম বলেন, এ দেশে থাকতে কারও ভয় নেই। এটা শুধু হিন্দু কিংবা মুসলমানের ওপর আক্রমণ নয়, এটা মানবজাতির ওপর আক্রমণ। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। তার নেতৃত্বেই এ অপশক্তিকে পরাজিত করব। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এক পরিবার হয়েছি। আমাদের এই দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো স্থান হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তির নীড় হিসেবে বাংলাদেশে সবাই একসঙ্গে বসবাস করব। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এই বাংলাদেশ আমার, আপনার সবার। আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রতিটি বিপদে আপনারা আমাদের পাশে পাবেন। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেন যে, আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যেভাবে আগুনসন্ত্রাসীদের দমন করেছেন, ঠিক একইভাবে এবারও সন্ত্রাস নির্মূল করা হবে। ডি এন চ্যাটার্জি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি সংখ্যালঘু পরিবারের মানুষের মাথায় একটা প্রশ্ন জেগেছে— তারা কি এই দেশে নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন? কিন্তু বাংলাদেশের সব অর্জন তো জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের কাছে পরাজয়বরণ করতে পারে না। কারণ, অসুরের কাছে কখনো সুর পরাজিত হতে পারে না। নারায়ণ সাহা মণি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কারণ, সংখ্যালঘুরা যাতে দেশে শান্তিতে থাকতে পারেন, সেই পরিবেশ তৈরি করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান মিলে এই দেশ স্বাধীন করেছে, সবাইকে সেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর