৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র বিনোদনের স্থান যাত্রাবাড়ী পার্ক। দীর্ঘদিন ধরে এখানেই মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেতে আসতেন। কিন্তু পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ বিপরীত। সবাই দখল করে এখন পার্কটি প্রায় মৃত। সামান্য একটু জমি আছে। তবে সেখানে বিনোদনের কোনো উপকরণই নেই। অবশিষ্ট যে অংশটুকু ছিল সেটাও সন্ধ্যার পরে হকারদের দখলে চলে যায়। রাজধানীর অন্যতম গেটওয়ে যাত্রাবাড়ী মোড়। এই মোড়ে তিনটি ওয়ার্ডের অবস্থান। উত্তর দিকে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড সীমানা। রাজধানীর অন্যমত ব্যস্ত এলাকা এ ওয়ার্ডেই সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড। সরেজমিন জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী থানার সামনেই কাঁচাবাজার, হকার স্ট্যান্ড— চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইয়ের অন্যতম ক্ষেত্রভূমি। এলাকাবাসী জানান, সন্ধ্যার পর গাঁজার গন্ধে রাস্তায় হাঁটা কষ্টকর। রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাই চক্রের তিনটি সিন্ডিকেট। এ ছাড়াও ছোট ছোট আরও একাধিক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। যাত্রাবাড়ী পার্কটির অর্ধেকের বেশি দখল নিয়ে একটি স্কুল করা হয়েছে। সড়ক বড় করতে নেওয়া হয়েছে অনেক অংশ। যেটুকু ছিল তার একদিকে সিটি করপোরেশনের গভীর নলকূপ, একটি উন্নয়ন সংস্থার অফিস। এখন যেটুকু আছে তাতে মাদকসেবী, ছিনতাইকারী, হকারদের দখলে। এই ওয়ার্ডের মূল সমস্যা চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা। প্রতিদিনই স্থানীয় নেতা, পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের শেষ নেই। রাস্তাজুড়েই আন্তঃজেলার বড় বড় বাস দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। প্রত্যেক মুখেই যেন আন্তঃজেলা বাসের স্ট্যান্ড। এই টার্মিনালে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদাবাজি চলে।
৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি অনেক প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী পার্ক উদ্ধার ও বিনোদনের জন্য উপযোগী করা এবং একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা অন্যতম। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি চলছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমার নেই। আর মাদক বা ছিনতাই চক্রও আমার নিয়ন্ত্রণে নেই।