রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ফোন ছাড়া চাকরি হবে না নৈশপ্রহরীর!

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

পরীক্ষায় পাস করেও নিয়োগ পাচ্ছে না সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৯ দফতরি কাম নৈশ্যপ্রহরী। মন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না তাদের। মন্ত্রী বা সচিবের ফোন ছাড়া এই নৈশ্যপ্রহরীদের নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক।  জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসে সারা দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি কাম নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময় সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৩৯টি বিদ্যালয়েও দফতরি কাম নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ১৩ অক্টোবর পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়। এর পরদিন বিগত সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার সিলেট সফরে এলে আওয়ামী লীগের এক নেতা নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলেন। ওই সময় মন্ত্রী তাৎক্ষণিক সারা দেশের দফতরি কাম নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগ স্থগিত রাখার মৌখিক নির্দেশ দেন। ১৭ অক্টোবর স্থগিতাদেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়। এর চারদিন পর ২১ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজমা শেখ স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রের মাধ্যমে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এরপর সারা দেশে নিয়োগ কার্যকর হলেও বঞ্চিত থাকেন শুধুমাত্র সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৩৯ জন।  নিয়োগ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রশাসন। এরপর জেলা প্রশাসক কাজী মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে জকিগঞ্জ উপজেলায় দফতরি কাম নৈশ্যপ্রহরী নিয়োগে কোনো অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু এরপরও মন্ত্রী যেহেতু মৌখিকভাবে নিয়োগ স্থগিত করেছিলেন, তাই নিয়োগ কার্যকরে তার মৌখিক নির্দেশনা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা সচিব টেলিফোনে নিয়োগ কার্যকরের নির্দেশ দিলেই ওই ৩৯ জনের নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।’  এদিকে প্রায় চারমাস আগে পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পরও নিয়োগ না পেয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন নৈশ্যপ্রহরীরা। অনেকে স্কুলের চাকরির আশায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি ছেড়ে এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন।

সর্বশেষ খবর