আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, প্রেস ব্রিফিংয়ে মিথ্যাচার না করে শপথ নিয়ে সংসদে এসে জনগণের পক্ষে কথা বলুন। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সংসদে না এলে বিএনপি শেষ সুযোগটাও হারাবে। আগামী ২৪ এপ্রিল সংসদ অধিবেশন বসবে।

গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।       সংগঠনের সহসভাপতি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, স্বাধীন বাংলার বেতার শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সাম্প্রতিক সময়ে নুসরাতসহ সব শিশু ও নারী হত্যার বিচার দ্রুত ট্রাইব্যুনালে করে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এতে বাংলার জনগণ আমাদের সাধুবাদ জানাবে। এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশের জনগণ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। খুনিদের দ্রুত বিচার করুন। এতে জনগণ খুশি হবে। সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে।

তিনি বলেন, নুসরাতের খুনির আশ্রয়দাতা তথাকথিত আওয়ামী লীগ নেতার বিচার করতে হবে। দেখলাম আওয়ামী লীগের একজন নেতা নুসরাতের মূল খুনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। এসব লোক ক্রিমিনাল। এরা কখনো আওয়ামী লীগ করতে পারে না। জীবনে এরা কোনো দিন আওয়ামী লীগ করেনি, আওয়ামী লীগে বিশ্বাসও করে না। এই সমস্ত লোকেরও নুসরাতের খুনির সঙ্গে বিচার করতে হবে। এদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। এরা আওয়ামী লীগের দুর্নাম করে। ধর্মান্ধ রাজনীতিবিদরা নুসরাত হত্যার প্রতিবাদ না করে অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠান মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধিতা করে। এদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে আপনারা সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যা থেকে শুরু করে জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারসহ কোনো হত্যার বিচার করেননি। আমরাই একমাত্র দল ক্ষমতায় থেকে নিজের দলের কর্মীকেও খাতির করিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু নুসরাত হত্যার বিচার নয়, খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও ব্যবস্থা করবেন। মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। বাঙালির সঠিক ইতিহাসের আলোকে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।