রবিবার, ১৬ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

পরিণত সংবেদনশীলতা দেখাবে ভারত

তাজাকিস্তানে মোমেন-জয়শংকর বৈঠক

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

প্রথম সাক্ষাতেই বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে প্রত্যাশা ও সীমান্তে হত্যাকা- বন্ধ করার কথা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকরকে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তাজাকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকরের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সফরসঙ্গী হিসেবে তাজাকিস্তান রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। বৈঠকে তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ ছাড়াও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সদ্ভাব ও সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পরিণত সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করেছে। জয়শংকর বলেন, ভারতের পূর্বমুখী অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রবেশদ্বার  হিসেবে বাংলাদেশের অনন্য সম্ভাবনা ও ভূ-কৌশলগত সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া বিমসটেককে শক্তিশালী করলে তা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তিনি আরও বলেন, ভারত আঞ্চলিক সংযোগের ওপর সমধিক গুরুত্বারোপ করে থাকে।

ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কনফারেন্স অন ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ)-এর ৫ম শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে তাজাকিস্তান সফর করছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

স্থানীয় হোটেল সেরিনায় বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান গভীর হৃদ্যতাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত হবে। এ সময় ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা এবং পরিপক্ব ও প্রশংসনীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে         দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ-বিরাজিত অমীমাংসিত ও স্পর্শকাতর ইস্যুগুলো সমাধান করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যে অভূতপূর্ব উচ্চতায় উন্নীত করেছেন, তা বিশ্বের অপরাপর দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তিনি ভারতের সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ড. এস জয়শংকরকে অভিনন্দন জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে প্রায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগ আকর্ষণে ড. এস জয়শংকরের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে ভারতকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অতিসত্বর বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ড. এস জয়শংকর দ্রুতই একটি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর