বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রবৃদ্ধি অর্জনেই ঘাটতি বাজেট তথ্যে বিরোধী দলের ‘না’

সংসদে বাজেট আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে চলছে, এর মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

দেশে আজ তারল্য সংকট নেই, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট নেই। প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্যই ঘাটতি বাজেট প্রয়োজন বলে তারা উল্লেখ করেন।

অপরদিকে বিরোধী দলের সদস্যরা বলেন, অর্থমন্ত্রী স্মার্ট বাজেট দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মোটেই স্মার্ট বাজেট হয়নি। বরং পদে পদে গেঁাঁজামিল ও শুভঙ্করের ফাঁকি। আমরা রাজস্ব আদায় করতে পারি না। জিডিপির ১৩ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে পারি না। দেশে এখনো বৈষম্য বিরাজ করছে। এ বৈষম্য বিবেচনায় না নিলে বাজেটটি কার জন্য?

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকলের বৈঠকে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় এসব কথা বলা হয়।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের স্বার্থে করের বোঝা না বাড়িয়ে করদাতার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন।

জিডিপির ১ শতাংশ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হলে জিডিপি ১ শতাংশ বেড়ে যাবে। এ বাজেটে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে; যার ফলে দেশে বেকার যুবকরা কাজ পাবে। এ বছর দেশে ৪ হাজার ৭০০ ডাক্তার নিয়োগ হবে। তিনি স্বাস্থ্য খাতে আরও অধিক বরাদ্দের আহ্বান জানান। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর থেকে সরকার ঋণ নেয়, তবে টাকা নিয়ে সরকার যদি সঠিক বিনিয়োগ না করে, যদি বেসরকারি খাতের সঙ্গে সমন্বয় না ঘটে তাহলে কিন্তু প্রবৃদ্ধির ক্ষতি হয়। তাই ঋণের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগান প্রয়োজন। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পরিশ্রম-বুদ্ধিতে দেশের উন্নয়ন, গ্রোথ মোটামুটি অনেকাংশে বাড়িয়েছেন। পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়ায় সরকারকে স্বাগত জানান। সাবেক মন্ত্রী  রমেশ চন্দ্র সেন বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে দেশের বেকার যুবকদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহ্বান জানান। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে লুটেপুটে খায়, আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে আগুন সন্ত্রাস চালায়। ফখরুল ইমাম বলেন, স্বাধীনতার পর অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ যে বাজেট দিয়েছিলেন তার থেকে বর্তমান বাজেট প্রায় ৬৩৬ গুণ বেশি হয়েছে। তাজউদ্দিন সাহেবের বাজেট আর বর্তমান বাজেটের আদর্শ বিপরিতমুখী। তাজউদ্দিনের বাজেট ছিল সমাজতন্ত্রমুখী আর বর্তমান বাজেট হলো পুঁজিবাদের নয়া উদারবাদী ধারামুখী। অর্থমন্ত্রী স্মার্ট বাজেট দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন এ বাজেট মোটেই স্মার্ট বাজেট হয়নি। পদে পদে গোঁজামিল ও শুভঙ্করের ফাঁকি।

সর্বশেষ খবর