বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

তৃতীয় দিনেও ট্রেনের আগাম টিকিট কিনতে মানুষের ঢল

লাইনে দাঁড়িয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়েন নারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি অফিস-আদালতে ঈদের ছুটি শুরু ৯ আগস্ট থেকে। ওই দিনের আগাম টিকিট পেতে গতকাল তৃতীয় দিনেও সকাল থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে নামে মানুষের ঢল। তবে টিকিট পেতে ধীর গতি ও অ্যাপে না পাওয়ার অভিযোগ করেন প্রত্যাশীরা। অনেকে অনলাইনে টিকিট কাটতে ব্যর্থ হয়ে কাউন্টারে ভিড় করেন। টিকিট প্রত্যাশীরা কাউন্টারের সামনে অবস্থান করেন আগের রাত থেকে। তাদের দীর্ঘ লাইন কাউন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে চলে যায় স্টেশনের বাইরের রাস্তায়। ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যেই কমলাপুর রেল স্টেশনে বইছিল ঈদের হাওয়া। গতকাল সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় টিকিট বিক্রি। কিছু সময়ই পরই কাক্সিক্ষত টিকিট না পাওয়ার হতাশা প্রকাশ করেন যাত্রীরা। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য কমলাপুর স্টেশন ছাড়াও বিমানবন্দর স্টেশন, বনানী স্টেশন, তেজগাঁও স্টেশন এবং ফুলবাড়িয়া থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়। স্টেশনের কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রির জন্য বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৯২৭টি টিকিট। বাকি সব টিকিট অনলাইনে এবং রেলসেবা অ্যাপসের মাধ্যমে বিক্রি হয়। লাইনে দাঁড়িয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়েন নারীরা।

কাউন্টার বাড়ানোসহ আরও আগে থেকে টিকিট বিক্রি শুরুর দাবি করেন তারা। শামিমা নামে একজন বলেন, রাতে এসে প্রথমে যারা দাঁড়িয়েছিলেন সকালে এসে দেখি তারা নেই।  আমার ধারণা তারা ভাড়াটে লোক ছিলেন। আবার কারও আত্মীয়স্বজনও হতে পারে।

কমলাপুর রেল স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, আগাম বিক্রির তৃতীয় দিনে দুটি স্পেশালসহ কমলাপুর থেকে ১৬টি ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। অন্যদিনের তুলনায় যাত্রীদের চাপ ছিল অনেক বেশি। 

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য মঙ্গলবার রাত থেকে লাইনে দাঁড়ান ফারুক আহমেদ। তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি জানালেন, মঙ্গলবার রাতে লাইনে দাঁড়িয়েও এসি টিকিট পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে ৩টি শোভন চেয়ারের টিকিট কেটেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর