সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

খাদ্য ব্যবসায় রেলের ছয় মহারথী

লাভের টাকা ভাগবাটোয়ারা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

বাংলাদেশ রেলওয়েতে ব্যবসা পেতে বসেছেন রেলের ছয় মহারথী কর্মকর্তা-কর্মচারী। নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে ট্রেনগুলোতে খাদ্য বিক্রির ঠিকাদার নিয়োগ করার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রেলে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। ঢাকা থেকে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর গড়ে তোলা সিন্ডিকেট ট্রেনে খাদ্য বিক্রি করছে। আর এ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিয়া জাহান। অথচ রেলের খাতে গত এক বছরে কোনো টাকা জমা হয়নি। দরপত্র ছাড়াই ইচ্ছামতো লোক নিয়োগের মাধ্যমে তারা এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। যাত্রীদের কাছে খাদ্য বিক্রি করে যে লাভ হয়, তা ভাগবাটোয়ারা করে নেন তারা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপরারেশন) মিয়া জাহান, উপ-পরিচালক (পরিবহন) কালিকান্ত ঘোষ, সহকারী চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার আবদুল জাব্বার, গ্যাস্টেটনার মেশিন অপারেটর হুমায়ুন কবীর, অভিযোগ পরিদর্শক আলাউল কাইসার ও সিট ক্লেম পরিদর্শক (পূর্ব) মোমিনুল ইসলাম। পশ্চিমাঞ্চলে যেসব ট্রেন চলাচল করে সেগুলোতে খাদ্য সরবরাহের এ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তারা। ট্রেনগুলো হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা লাইনের বনলতা এক্সপ্রেস, বেনাপোল-ঢাকা বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম লাইনের কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় লাইনের পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। নিয়ম অনুযায়ী খাদ্য বিক্রির টাকা রেলের কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। সেটিও জমা দেন না খাদ্য সরবরাহকারী ও বিক্রেতারা। পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জামশেদ মিনহাজ রহমান জানান, তিনি খাদ্য বিক্রি বাবদ সরকারি কোষাগারে কোনো টাকা জমা হওয়ার কথা জানেন না। তবে ওই কর্মকর্তারা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কি না তা অনুসন্ধান করে দেখা হবে। তবে দরপত্র ডেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহের কাজটি হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য ওই কর্মকর্তাদের প্রত্যেককে ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। এমনকি খুদে বার্তা পাঠালেও তারা কোনো উত্তর দেননি।৭

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর