তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবে না, সে জন্যই তারা সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা বলতে পারে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিন নানা কথা বলছেন। বিএনপির বক্তব্যে মনে হয়, তাদের চিন্তাধারা একপেশে। দেশের কোটি কোটি খেটে খাওয়া মানুষের কথা তারা মোটেও চিন্তা করে না। প্রতিদিনের আয়ের ওপরই যে কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা চলে, তাদের মুখে আহার ওঠে, সেই কথাটা মোটেই তারা চিন্তা করে না। সে জন্যই তারা সবকিছু একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা বলতে পারে, কারফিউ দেওয়ার কথাও মাঝে-মধ্যে তারা বলে। তিনি বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিদিনের উপার্জনের ওপর নির্ভর করে তাদের কথা মাথায় রেখেই সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, জীবনরক্ষার জন্য জীবিকাকেও রক্ষা করতে হয় এবং সরকারকে জীবন ও জীবিকা দুটিই রক্ষার জন্য কাজ করতে হয়। সে কারণেই পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিক কর্মকা- শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যে মৃত্যুহার ১৪ শতাংশের বেশি, সেখানে বেশ আগেই সব কর্মকা- শুরু হয়েছে। বেলজিয়ামে মৃত্যুর হার ১৬ শতাংশের বেশি, সেখানে গত সপ্তাহে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতালি, স্পেনে কী বিপর্যস্ত অবস্থা ছিল! সেখানেও অর্থনৈতিক কর্মকা- শুরু হয়েছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও তা শুরু হয়েছে। পাকিস্তানে বেশ কদিন আগে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় আগে ট্রেনসহ নানা গণপরিবহন চালু করা হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে অর্থনৈতিক কর্মকা- শুরু হয়েছে। আর আমাদের দেশে সরকারের সঠিক পদক্ষেপের ফলে মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ যা ভারত, পাকিস্তান ও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে অনেক কম।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই অর্থনৈতিক কর্মকা- শুরু করা কিংবা ছুটি প্রলম্বিত না করার মানে এই নয় যে, আমরা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগে যেভাবে চলতাম, সেভাবে চলব। এখন অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, সব ধরনের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আড্ডা থেকে শুরু করে সামাজিক মেলামেশা পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমার সুরক্ষা আমার হাতে। তিনি বলেন, শুধু প্রয়োজনেই আমরা ঘর থেকে বের হব ও কাজ করব, অপ্রয়োজনীয় কোনো কিছু করব না, তাহলেই আমরা আমাদেরকে সুরক্ষা দিতে পারব।
