আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যত্রতত্র পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করলে কোরবানির পশুর হাট স্বাস্থ্যঝুঁকি ভয়ানক মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে। মহাসড়ক ও এর আশপাশে পশুরহাটের অনুমতি দেওয়া যাবে না। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আগেই করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানান। গতকাল মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের নয়টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের রেশ না কাটতেই বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে বসতবাড়ি, কৃষকের ফসল, মানুষের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যাকবলিত জেলায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশাসনের পাশাপাশি বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ যে সক্ষমতা দেখিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই ধারাবাহিকতায় এবারও অসহায় মানুষের পাশে থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ এখন ছড়িয়ে পড়েছে, এ রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে তা সীমাবদ্ধ সুযোগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হবে কষ্টসাধ্য, সমসাময়িক বিশ্ব প্রেক্ষাপট তার প্রমাণ। এ পরিস্থিতিতে নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে।

সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। সামান্যতম অবহেলা আর উদাসীনতা আমাদেরকে প্রিয়জন থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে।

ওবায়দুল কাদের করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের বিষয়টি সম্প্রতি আলোচিত হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, এতে অসহায় দরিদ্র মানুষ পরীক্ষা থেকে দূরে থাকবে বলে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে আরও দ্রুতগতিতে।

মন্ত্রী বলেন, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে ফি নির্ধারণের বিষয়টি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ গরিব খেটে খাওয়া মানুষের ফি দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানাই।