শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ১১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ১১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আগের অর্থবছরের চেয়ে যা ১৩৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে দক্ষিণ সিটির সংশোধিত বাজেটের আকার ছিল ২ হাজার ৫৮৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ঢাকা নগরকে সবুজে ঢেকে দিতে জনদুর্ভোগ বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরে এ বাজেট কার্যকরের ঘোষণা দেন দক্ষিণ সিটির মেয়র ফজলে নূর তাপস। গতকাল রাজধানীর নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেট ঘোষণার সময় ফজলে নূর তাপস বলেন, মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা ঢাকাকে সচল, সুন্দর ঢাকা হিসেবে, সর্বোপরি উন্নত ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এবারের বাজেটে ‘বটম-আপ পলিসিকে’ গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচিত কাউন্সিলর ও সংসদ সদস্যদের উন্নয়ন ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ১৯টি নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাজেটে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে কামরাঙ্গীরচরে একটি ‘সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট’ করা হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার সমন্বয়হীনতায় শিল্পায়নের নামে অপরিকল্পিত কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই নগরকে আমরা দিনে দিনে এক রুগ্ন সত্তায় পরিণত করে চলেছি। এটা সত্যি যে, দেশের অর্থনৈতিক এবং সামগ্রিক উন্নয়নে শিল্পায়ন অতীব গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

 শিল্পায়ন ও নাগরিক সুবিধার নামে আমরা এই শহরের নদ-নদীগুলো দখল, দূষণ ও ভরাট করে চলেছি। জলাধারগুলো নিশ্চল-নিথর করতে সম্পন্ন করেছি সব আয়োজন। যত্রতত্র ফেলছি ময়লা-আবর্জনা, গতিরোধ করছি নর্দমাগুলোর। এভাবে চলতে দেওয়া সমীচীন নয়। এই সমন্বয়হীনতার দেয়াল ভেঙে দখল-দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে জলাশয়গুলোকে সচল করে, অপরিকল্পিত শিল্পায়নের বিরুদ্ধে সরব হয়ে পরিবেশ-প্রতিবেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়া হবে।

মেয়র দাবি করেন, ডেঙ্গু-চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সফল হয়েছে। আমি আড়াই মাস আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমি এখন বলতে পারি, আমরা অনেকাংশে সফল। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। ঢাকার অধিকাংশ জলাশয় সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন নয়। এগুলোর মালিক সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ঝুলে আছে সেসব মশক-অভয়ারণ্যে আমাদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন।

তিনি বলেন, ঢাকার রাস্তায় কোনো ময়লা ফেলা যাবে না। কনটেইনারে বর্জ্য রাখা হলে তার পাশে রাস্তার ওপরেও ময়লার স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি এই ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ৩১টি ওয়ার্ডে এসটিএস নির্মাণে সফল হব। রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে সব বর্জ্য স্থানান্তর করে মাতুয়াইলের ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর