বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। আজকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। সে বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। এ সরকারের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি সম্পর্কে জনগণকে সজাগ করতে হবে। গতকাল দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এটি ছিল বিএনপির ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটি’র প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠক। কীভাবে বছরব্যাপী এ আয়োজন করা যায় তার কর্মকৌশল ও প্রস্তাবিত কর্মসূচি নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে জাতীয় কমিটির বাইরে একটি স্টিয়ারিং কমিটি এবং অর্থ, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, ব্যবস্থাপনা, দফতর, প্রচার, প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক, মিডিয়াসহ বিভিন্ন উপকমিটি গঠনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিষয়ভিত্তিক প্রকাশনা, পোস্টার, লিফলেটও প্রকাশ করবে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের নুইয়ে পড়লে চলবে না। ভবিষ্যৎ যে স্বপ্ন তা নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সে লক্ষ্যে আমাদের বিভিন্ন আলোচনা, প্রকাশনা, ডকুমেন্টেশন নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এ একটা সুযোগ, একে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক এবং বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের সঞ্চালনায় বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ ছাড়া বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লা বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায়চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ নেতা বক্তব্য দেন।
