চট্টগ্রামে মাদক মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযানে ভাটা পড়েছে। গত কয়েক মাসে পরিচালিত হয়নি কোনো অভিযান। ফলে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা। এলাকায় ফিরে এসে তারা অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অতীতের মতো এখনো মাদক নিয়ে পুলিশের অবস্থা জিরো টলারেন্স। শিগগিরই মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। তালিকাভুক্ত এবং তালিকার বাইরে থাকা সব মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতারের আওতায় আনা হবে।’ চট্টগ্রাম মেট্রো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের অনেকেই আগের ঠিকানায় অবস্থান করছে না। তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালালেও ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে তাদের খোঁজ মিলছে না। তারপরও চেষ্টা রয়েছে তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনার।’ জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে ১ হাজারের ওপর। তার মধ্যে ৪২৯ জনের নাম রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায়। তিন ক্যাটাগরিতে মাদক ব্যবসায়ীদের ওই তালিকা করা হয়। তালিকায় থাকা চট্টগ্রাম জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৭৪ জনের নাম তালিকাভুক্ত হয় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে, ৩৬ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয় পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারী এবং ১০ জনের নাম তালিকাভুক্ত হয় মাদক ব্যবসায়ী সহায়তাকারী পুলিশ সদস্য হিসেবে। নগরীতে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ২৭৯ জন, পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারী ১০ জন এবং মাদক ব্যবসায়ী সহায়তাকারী পুলিশ সদস্য ২০ জন। তালিকায় থাকা মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারীদের সবাই রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা ও জনপ্রতিনিধি। এরই মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের সহায়তাকারী পুলিশ সদস্যের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও বাকিরা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তালিকা তৈরির পর তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলে এলাকা ছাড়া হয় সিংহভাগ মাদক ব্যবসায়ী। বর্তমানে প্রশাসনের শিথিলতার সুযোগে ফের এলাকায় সক্রিয় হয়েছে তারা।
শিরোনাম
- ২ ঘণ্টা পর টিকাটুলির ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
- শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ
- খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
- পর্যটনের স্বপ্ন ফাইলেই বন্দি
- স্বস্তির জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটের মঞ্চে রিয়াল
- উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
- ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ
- দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
- টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ
- চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
- ১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
- প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
- ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
- মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
- ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান
- রেকর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহে রিজার্ভ বেড়ে ৩১.৬৮ বিলিয়ন ডলার
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পেল পাকিস্তান