সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

কটিয়াদীতে এসিল্যান্ডকে লাঞ্ছিত ও ক্লিনিক ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (এসি ল্যান্ড) লাঞ্ছিত এবং ক্লিনিক ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন আসামিকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করে ঢাকা রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। শনিবার রাতে এসি ল্যান্ড আশরাফুল আলম বাদী হয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় চিহ্নিত চারজনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। অপরদিকে কমিউনিটি ক্লিনিক ভাঙচুর এবং ক্লিনিকের লোকজনকে মারধরের ঘটনায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের নামে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এসি ল্যান্ডের দায়ের করা মামলায় পুলিশ রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন কটিয়াদী উপজেলার চড়িয়াকোনা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৪), পূর্ব ভিটাদিয়া গ্রামের মৃত ফরিদউদ্দীনের ছেলে কামাল হোসেন (৪০) ও রামদী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান মিন্টু (৫২)।

এদিকে কটিয়াদীতে অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে প্রত্যাহার করে ঢাকা রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বিকালে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলামের কাছে তিনি দায়িত্বভার অর্পণ করেছেন। ওসি এম এ জলিল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) জানান, সহকারী কমিশনারের দায়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওসিকে ঢাকা রেঞ্জে সংযুক্ত করার কথাও তিনি স্বীকার করেন। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এসব ঘটনায় মামলা দায়ের এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামী লীগ গতকাল উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানায়। এ সময় স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান তার গ্রামের বাড়ি কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুরে সম্প্রতি একটি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। ক্লিনিকে যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে শনিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় কমিউনিটি ক্লিনিক ভাঙচুর ও ক্লিনিকের লোকজনকে মারধরও করা হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর