রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ মালিক মনে করে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ মালিক মনে করে : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ মনে করে তারাই সব। তারাই মালিক। আমরা সব প্রজা। এভাবেই তারা গোটা বাংলাদেশকে দেখে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, ওষুধ বিতরণ ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত চিকিৎসা ও সেবা কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র থাকলে সবাইকে ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। গণতন্ত্র মানলে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিন্তু এসবের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেই।

কারণ তারা কখনোই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না। বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশ লুট করে নেওয়া। ছোটবেলায় গান শুনতাম, ছেলে ঘুমাল পাড়া জুড়াল বর্গি এলো দেশে। সেই বর্গিদের ভূমিকায় নেমেছে আওয়ামী লীগ। বর্গিরা যেমন বাংলাদেশের সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত, সেভাবে আজ তারা সমগ্র বাংলাদেশকে লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। সেই কানাডার বেগমপাড়া অথবা মালয়েশিয়া, আমেরিকায় অথবা ইংল্যান্ডে তারা বাড়িঘর তৈরি করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির এতটুকু গন্ধ যাদের আছে, ভিন্নমতের হওয়ায় ভালো ভালো জায়গা থেকে তাদের বদলি করা হয়েছে। অনেকের চাকরি চলে গেছে। অনেকে বাধ্য হয়ে অবসরে চলে গেছেন। তিনি বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, তিনি প্রতিদিন বিএনপিকে নিয়েই কথা বলেন। আবার বলেন, দেশে বিএনপি নেই। বিএনপি না থাকলে প্রতিদিন বিএনপি সম্পর্কে কেন বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিদিন কমেন্ট করেন, কথা বলতে থাকেন। তার কথায় আমরা সবাই বিনোদন পাই ও কৌতুক বোধ করি। তার কথা বলার ভঙ্গি খুব সুন্দর। তার বসে থাকার ভঙ্গিটাও খুব সুন্দর।  তিনি যে আসনে বসে কথা বলেন, সেটাও খুব সুন্দর। তিনি অত্যন্ত সুদর্শন মানুষ। চমৎকার কোট ও পাঞ্জাবি পরেন। আর পত্র-পত্রিকায় বের হয়েছে যে, তার ঘড়িগুলোর দাম নাকি ৩৬ লাখ, ৫২ লাখ এবং ১ কোটি টাকা, এ রকম দামের।

নোয়াখালীর বসুরহাটের ঘটনা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনার এলাকা নোয়াখালীর বসুরহাটে কী হচ্ছে! পত্রিকায় এসেছে, সেখানে দুটো খুন হয়েছে। তার মধ্যে একজন সাংবাদিক ও একজন রাজনৈতিক কর্মী। রাজনৈতিক ওই কর্মীর ভাই মামলা করতে গিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ তার মামলা নেয়নি। কাদের মির্জার বিপক্ষে মামলা নেয়নি। কারণ, তিনি তো কেবল কাদের মির্জা নন, তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর মানুষ ওবায়দুল কাদেরের ভাই। কোথায় আপনার সুবিচার? কোথায় গণতন্ত্র? কোথায় ন্যায়ের শাসন?

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির গঠিত চিকিৎসা ও সেবা কমিটির সদস্যসচিব হারুন আল রশিদ। সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিনামূল্যে এ চিকিৎসাসেবা, ওষুধ বিতরণ ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর