হাটহাজারীর নাশকতার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে জামায়াতের সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীকে। শুক্রবার রাতে সাতকানিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের নাশকতায় শাহজাহান চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে সাতকানিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসব ঘটনায় জিজ্ঞাবাদের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
তিনি বলেন, সাতকানিয়া আসনে সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গ্রুপকে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টি মামলা আছে।
হাটহাজারীর নাশকতার দায় স্বীকার করলেন হারুন ইজহার : হাটহাজারী থানা ও সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহার। বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরার আদালতে তিনি ১৬৪ ধারার এ জবানবন্দি দেন।চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘হাটহাজারীতে নাশকতার ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি দিয়েছেন মুফতি হারুন ইজহার। তিনি আরও কয়েকটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ওই মামলাগুলোতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তার রিমান্ড চাওয়া হবে।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া হেফাজতের নেতা হারুন ইজহার হাটহাজারীতে নাশকতার ঘটনায় ইন্ধন ও সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। হাটহাজারী থানা, ভূমি অফিস, ডাকবাংলোসহ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নেপথ্যে থাকার দায় স্বীকার করেন। জবানবন্দিতে ঘটনার নেপথ্যে থাকা আরও কয়েকজন নাম উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির সফর ঘিরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তান্ডব চালান হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। এ সময় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে চারজন নিহত হন। হাটহাজারীতে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মুফতি হারুন ইজহারকে।