মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মোবাইল ছেড়ে খেলার মাঠে ফিরতে ফুটবল

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

মোবাইল ছেড়ে খেলার মাঠে ফিরতে ফুটবল

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। অনলাইনভিত্তিক ক্লাসের জন্য অভিভাবকরা সন্তানদের হাতে তুলে দিয়েছেন ল্যাপটপ মোবাইল ডিভাইস। এ সুযোগে তরুণ প্রজন্ম মোবাইলে ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে প্রযুক্তির অপব্যবহারে তরুণরা নেশাগ্রস্ত বিপথগামী হচ্ছে, যা অভিভাবকদের ভাবিয়ে তুলছে। এমনই পরিস্থিতিতে খুলনার বটিয়াঘাটার প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে ‘মোবাইল ছাড়ো খেলার মাঠে আসো’ এ আহ্বান জানিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন অভিভাবকরা। এরই মধ্যে তারা কিশোর-তরুণদের মাঝে ফুটবল বিতরণসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছেন। এতে সাড়াও মিলেছে রাতারাতি। অনেক অভিভাবক স্বেচ্ছায় তাদের সন্তানদের ফুটবল মাঠে ফিরতে উৎসাহ জোগাচ্ছেন। মহৎ এ কাজের উদ্যোক্তা সমাজসেবী এস এম ফরিদ রানা বলেন, ‘মোবাইলে গেম ও ফেসবুকের প্রতি আসক্তি আমাদের কোমলমতি সন্তানদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলছে। এখন গ্রামের রাস্তার পাশে, বাড়ির আনাচকানাচে ছেলে-মেয়েদের মোবাইলে গেম খেলতে দেখা যায়। এতে লেখাপড়া ও তাদের স্বাস্থ্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি অনেকে অনৈতিক  কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এ থেকে ফেরাতে বটিয়াঘাটার গাওঘড়া, সুম্ভনগর, বুনারাবাদ, বারোভুইয়া, পারশেমারি গ্রামে তরুণদের মাঝে ফুটবল বিতরণ করে তাদের মাঠে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে।’ বারোভুইয়া গ্রামের এস এম রেজাউল করিম বলেন, ‘ফুটবল পেয়ে অনেকেই উৎসাহ নিয়ে মাঠে খেলতে এসেছে। প্রতিদিন ফুটবল মাঠে তরুণ-যুবকদের আনাগোনা বাড়ছে। এতে অভিভাবকরাও বেশ খুশি। খেলাধুলায় মেতে থাকলে মোবাইলে আসক্তি কমানো যাবে।’ সরকারি সুন্দরবন কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রকাশচন্দ্র অধিকারী বলেন, ‘প্রযুক্তির অপব্যবহারে অনেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পারিবারিক বন্ধন ভেঙে গেছে। তরুণরা আগ্রাসী ও উচ্ছৃঙ্খলতায় জড়িয়েছে। ফলে মোবাইলের আসক্তি কমাতে মাঠে ফেরার এ আহ্বান অভিভাবকদের মধ্যেও প্রশংসা জুগিয়েছে।’

সর্বশেষ খবর