এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলে আমাদের কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। আমি নিজেও সম্পদের হিসাব দিতে প্রস্তুত। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ৩২ হাসপাতালের প্রতিনিধিদের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর এবং স্পষ্ট। এমপি-মন্ত্রীসহ কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়, স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দুদক যে কোনো অপরাধের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে। ইতিমধ্যে অনেক নেতা-কর্মী এবং এমপির বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকার কাউকে রক্ষা করতে যায়নি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে দুদকের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ বা বাধা নেই।
প্রতি বছর আয়কর-রিটার্নের মাধ্যমেও সম্পদের হিসাব দেওয়া হয়। সে হিসাব বা ট্যাক্স প্রদানে গরমিল থাকলে তাও দুদক তদন্ত করে দেখতে পারবে।
সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভ্যাকসিনের চেয়েও কার্যকরী হচ্ছে মাস্ক। বাংলাদেশের যে পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন বিভিন্ন দেশ থেকে সে পরিমাণ ভ্যাকসিন পর্যায়ক্রমে আসবে। ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সংকট হবে না।
প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।
