শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফেরার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফেরার আহ্বান

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্র্যাবের অনলাইন পোর্টাল ‘ক্র্যাবনিউজবিডিডটকম’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বিএনপির প্রতি এ আহ্বান জানান।

ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ক্র্যাবের প্রধান উপদেষ্টা শংকর কুমার দে, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, খায়রুজ্জামান কামাল, মোতাহার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে এত দিন ধরে যে যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, জঙ্গি-সন্ত্রাসী, পেট্রোল বোমার রাজনীতি করে আসছিল, সেসব থেকে বেরিয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরবে। তাহলে দেশ এবং রাজনীতি উপকৃত হবে।’

এর আগে বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, ‘অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতার বিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সমাজে অনেক অপরাধের বিচার হয় আবার অনেকগুলো ঢাকা পড়ে। বিশেষ করে বিত্তশালী ও ক্ষমতাশালীদের অপরাধ অনেক সময় ঢাকা পড়ে। আমি মনে করি সেই অপরাধগুলোকে জনসম্মুখে তুলে আনার ক্ষেত্রে অপরাধ বিষয়ক বিটের সাংবাদিকরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শুধু ফৌজদারি নয়, অর্থনৈতিক অপরাধও প্রকাশ হওয়া উচিত। পাশাপাশি সমাজের ভাষাহীন মানুষের বেদনা প্রকাশের দায়িত্বও সাংবাদিকদের ওপর বর্তায়।’

মন্ত্রী বলেন, অনলাইন পত্রিকা এবং আইপি টিভি এখন যুগের বাস্তবতা। অনলাইন পত্রিকা থাকবে, আইপি টিভিও থাকবে। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা পোর্টালের প্রয়োজন নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এ আইন দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য। যখন ডিজিটাল বিষয়টা ছিল না তখন এ ধরনের আইনের প্রয়োজন ছিল না। এখন ডিজিটাল যুগে এ ধরনের আইনের প্রয়োজন আছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এ ধরনের আইন রয়েছে। তবে এ আইনের যাতে অপপ্রয়োগ না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

অন্যান্য দেশের মতো দাফতরিক গোপনীয়তার আইন এখানেও কার্যকর আছে কিন্তু পাশাপাশি আমাদের সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে, তথ্য কমিশন গঠন করেছে, বলেন ড. হাছান। ২০১৪ সালে কমিশন গঠন হওয়ার পর গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৩১টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর