বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

৮৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকিতে আরও ৭ কর্মকর্তাকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

ঘুষের বিনিময়ে পাসপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে ৮৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও ৭ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

দুদক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কয়েকজন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বদলিকৃত ২ কর্মকর্তার আইডি ব্যবহার করে ৭ জন সিএন্ডএফ এজেন্টের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত মালামাল খালাস করে ৮৫০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল আরও ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন- মো. জিন্নাতুল ফেরদৌস, মো. হাবিবুল ইসলাম, মো. খায়রুল আলম, এটিএম মেহেদী হাসান, ইন্দ্রজিৎ মুখার্জী, এএসএম মোশাররফ হোসেন ও মো. সোহরাব আলী। একই অভিযোগে মঙ্গলবার একজন রাজস্ব কর্মকর্তা ও ৭ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ মোট আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এদিকে ঘুষের বিনিময়ে পাসপোর্ট দেওয়া এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক মো. আবু সাইদ ও উপ-পরিচালক রাজ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সংস্থাটির উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের পরিচালক মো. আবু সাইদ বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এবং উপ-পরিচালক রাজ আহমেদ পাসপোর্টের উত্তরা অফিসে ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা ঘুষের বিনিময়ে পাসপোর্ট প্রদান ও বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। যে তালিকায় ওই দুই কর্মকর্তার নাম রয়েছে।

ঘুষের বিনিময়ে এর আগেও ভারতীয় নাগরিককে পাসপোর্ট দেয়া ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। একাধিক মামলাও দায়ের হয় ওই ঘটনায়।

সর্বশেষ সাড়ে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোতালেব হোসেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গত ৩০ জুন পৃথক দুই মামলা করে দুদক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর