বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

হার্টের রোগী বাড়ছে রাজশাহীতে

জায়গা নেই হাসপাতালে বেড়েছে মৃত্যুও

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিনই কার্ডিওলজি বিভাগে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেড়েছে এ রোগে মৃতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে ব্যবস্থাপনার চেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ফলে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, কার্ডিওলজি বিভাগের ব্যবস্থাপনার চেয়ে তিন গুণ বেশি রোগী সেবা নিচ্ছেন। রোগীর চাপে ওয়ার্ডে চিকিৎসকরা হাঁটাচলাও করতে পারছেন না। চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে কার্ডিওলজি বিভাগের ৫৬ বেডে রোগী আছেন দেড় শতাধিক। করোনার প্রকোপ কমার পর রোগী বাড়ছে। মঙ্গলবার এ বিভাগে রোগী ছিলেন ১০৮ জন। বর্তমানে এ বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন মাত্র পাঁচজন। সে কারণে অতিরিক্ত রোগীর চাপ নিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রোগীদের জন্য কমপক্ষে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দরকার। সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য সিসিইউ চালু আছে। এ ইউনিটে রোগীদের সিরিয়াল ধরে সেবা নিতে হচ্ছে। কার্ডিওলজি বিভাগ ঘুরে দেখা যায় তেলাপোকার উপদ্রব। সার্বক্ষণিক রোগী ও রোগী-স্বজনদের খাবার রাখার কারণে পুরো ওয়ার্ডে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না। বেশির ভাগ এসি নষ্ট। জায়গা সংকট থাকায় ফ্লোরে রোগীদের জন্য জায়গা করা হয়েছে। হাসপাতাল-সূত্রে জানা গেছে, এখানে রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, পাবনা, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলার রোগী সেবা নিতে আসেন। বেডের তুলনায় অতিরিক্ত রোগীর কারণে করোনার ওয়ার্ডেই অতিরিক্ত বেড বসিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি আছেন পুঠিয়া উপজেলার সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আসার আগে আমার শরীরের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল।

 ভর্তি হওয়ার পর ডাক্তার-নার্স সার্বক্ষণিক সেবা দিচ্ছেন। তবে ওয়ার্ডে মানুষ বেশি থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। দুটি এসি, তা-ও নষ্ট। গরমে কষ্ট হচ্ছে।’ এক রোগীর স্বজন খাদিজা বেগম বলেন, ‘দুই দিন থেকে আমার স্বামীর চিকিৎসা চলছে। এখন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখানে চিকিৎসা ভালো তবে পরিবেশটা ভালো হলে আরও ভালো হতো। কিছু ফ্যান নষ্ট, এসি নষ্ট। গরমে সমস্যা হচ্ছে।’

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘বেডের সমস্যা পুরো হাসপাতালেই। এ ওয়ার্ডে বেডের তুলনায় তিন গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। সেই সঙ্গে চিকিৎসক সংকট। আগামী আড়াই বছরের মধ্যেই ১৭ তলা ভবন হবে। সেখানে কিছু ইউনিট করা হবে কার্ডিওলজি বিভাগের জন্য। তখন সমস্যার সমাধান করতে পারব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর