কুনাফা, বিফ শামি কাবাব, একলেয়ার, কোনামন রোল, ফিশ কেক, পিনাট লাড্ডু, এগ মিহিদানা লাড্ডু, হারবাল চা- এমন খাবারের শতাধিক পসরা সাজিয়ে ব্যতিক্রমী এক ‘ফুড ফেসটিভ্যাল (খাদ্য উৎসব)’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এর আয়োজন করা হয়। কৃষিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইয়াসের (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব স্টুডেন্টস ইন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্সেস) শেকৃবি শাখা এবং ফুড ম্যাগাজিন বাংলাদেশ উৎসবটি যৌথভাবে আয়োজন করে। দিনব্যাপী এ আয়োজনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘খাদ্য মানেই সেইফ ফুড নয়। খাদ্য অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। নতুবা তা বিষ। আমাদের আগামী দিনগুলোতে স্বাস্থ্যের প্রধান উপাদেয় খাদ্যকে নিরাপদকরণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’
বিশেষ অতিথি শেকৃবি ট্রেজারার ড. মো. নজরুল ইসলাম, শেকৃবি ইয়াসের প্রধান উপদেষ্টা ড. আবুল হাসনাত এম সোলায়মান প্রমুখ খাদ্যসংশ্লিষ্ট নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
উৎসব প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে নতুন উদ্যোক্তারা এতে স্টল দিয়েছেন, যাদের সবাই বাড়িতেই নানা ধরনের খাবার বানিয়ে অনলাইনে নিয়মিত ক্রেতাদের চাহিদামতো বিক্রি করে থাকেন। মিরপুর থেকে আসা ‘ক্রাফটস চিকেন’ ব্যানারে কেবল বাহারি নাড়ুর পসরা সাজিয়ে স্টল দিয়েছিলেন মোহাম্মদী খানম। তেজগাঁও থেকে নতুন নামে খাবারের রকমফের নিয়ে ‘বেকিং অ্যান্ড কুকিং’ ব্যানারে স্টল সাজিয়েছেন ওয়াহিদা জিনাত। রশিদা খানম দিয়েছেন ‘আরকে কুকিং স্টুডিও’। সুন্দরবন থেকে সংগৃহীত খাঁটি মধু ও গাওয়া ঘির পসরা দিয়ে স্টল সাজিয়েছে ‘মিল্কো বিডি’। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা ব্যতিক্রমী এ খাদ্য উৎসব বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উৎসাহপূর্ণ উপস্থিতিতে জমে উঠেছিল।
