ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চে কেবিনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঝামেলাবিহীনভাবে ঈদ যাত্রার টিকিট পেয়ে খুশি যাত্রীরা। এদিকে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে মজুদ থাকা পর্যন্ত টিকিট পাবেন যাত্রীরা। ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে পন্টুন মেরামতসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা। ঢাকা-বরিশাল নৌপথে স্বাভাবিক সময়ে কেবিনের টিকিট যেন সোনার হরিণ। ঈদ বা যে কোনো উৎসবে এই চাহিদা বেড়ে যায় আরও। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট ছেড়েছেন তারা। এখন বিক্রি হচ্ছে ঈদের আগের টিকিট। তবে কেউ কেউ টিকিট সংকটের কথা বলেছেন। বরিশাল-ঢাকা রুটের সুন্দরবন নেভিগেশনের কাউন্টার ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন জানান, শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই বুকিং স্লিপ নিয়ে আগাম টিকিট বিক্রি করেছেন তারা। মজুদ থাকা পর্যন্ত টিকিট পাবেন যাত্রীরা। ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে শুধু কেবিনের টিকিট আগাম বুকিং দেওয়া যায়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় (ডেক) শ্রেণির টিকিট ভ্রমণের সময় লঞ্চে পাওয়া যায়। এই রুটে মোট ২২টি লঞ্চ চলাচল করে। এদিকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ ভোগান্তি লাঘবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে পন্টুন মেরামত করা হয়েছে।
এ ছাড়া যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা।বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচল করে দেশের সর্বাধুনিক বিলাসবহুল ২২টি লঞ্চ এবং সরকারি একাধিক স্টিমার। এ ছাড়া ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচল করে ২ শতাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চ।
