শিরোনাম
শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বৃষ্টি নেই রাজশাহীতে বেড়েছে ডিজেলের চাহিদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর পবা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের কৃষক গোলাম রাব্বানী। ১৬ বিঘা জমিতে রোপণ করবেন আমনের চারা। কিন্তু দেখা নেই কাক্সিক্ষত বৃষ্টির। তাই শ্যালো মেশিন চালিয়ে নিশ্চিত করছেন সেচ। কৃষকরা বলছেন, জেলায় সাধারণত মধ্য আষাঢ় থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত আমন ধানের চারা জমিতে রোপণ করা হয়। কিন্তু এবার তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চাষাবাদ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। এ কারণে এবার ডিজেল ব্যবহার করে সেচ দিতে হচ্ছে। লোডশেডিং শুরুর পর এক সপ্তাহে ডিজেল বিক্রি বেড়েছে। জ্বালানি তেল পরিবেশকরা বলছেন, ডিজেল জেনারেটরের ব্যবহার বাড়তে থাকায় চাহিদা বেড়েছে। সেই সঙ্গে চাহিদা মতো বৃষ্টি না হওয়ায় সেচযন্ত্র চলছে অন্য মৌসুমের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। এক সপ্তাহে ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রোলের চাহিদা বেড়েছে ১০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। রাজশাহীতে লোডশেডিংয়ের চাপে বিক্রি বেড়েছে ডিজেলের। নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ের মেসার্স আমিন ফিলিং স্টেশনের মালিক আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে দিনে ৪০০ থেকে ৪৫০ লিটার ডিজেল বিক্রি হতো। এখন তার চেয়ে ১৫০ লিটার বেশি বিক্রি হচ্ছে। পেট্রোল আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে। তবে তার পাম্পে মজুদ থাকায় জ্বালানি তেলের সংকট নেই।

পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন জানান, তিনি জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা ও মেঘনার পরিবেশক। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে তার মাওয়া রোডের পেট্রোল পাম্পে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার লিটার জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়েছে। এ সপ্তাহে ২৭ হাজার লিটারের বেশি দেবে না বলে জানিয়েছে পদ্মা তেল কোম্পানি। অন্যরাও একই রকম কম সরবরাহের নির্দেশনা পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সংকট নেই পাম্পগুলোতে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর