রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

অসতর্কতায় ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহত বাড়ছে

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

রেললাইন দিয়ে আনমনে হেঁটে যাওয়া, কানে হেড ফোন দিয়ে কথা বলা, সিগন্যাল না মেনে দ্রুত গাড়ি চালানোসহ নানা অসতর্কতায় ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রেললাইনের আশপাশে সবসময় ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও তার তোয়াক্কাই করেন না সাধারণ মানুষ। গত এক মাসে শুধু চট্টগ্রামেই নিহত হয়েছেন ১৫ জন। সর্বশেষ গত বুধবার চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ট্রেন লাইন পার হওয়ার সময় ইঞ্জিনের সঙ্গে কাপড় আটকে একজন নিহত হয়েছেন।

ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক নানা ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। রেলমন্ত্রী ও রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) বারবার আশপাশের সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণে সচেতনতামূলক মাইকিং, ব্যানার, স্টোর এবং লিফলেট বিতরণ করেছে। গতকালও সীতাকুন্ডের সলিমপুর এলাকায় আরএনবি ও জিআরপি পুলিশ মাইকিং করেছে বলে জানান দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বলছেন, প্রায় সময় অসতর্কতার কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে কেউ মারা যাচ্ছেন, কেউ আহত হয়ে পঙ্গু হচ্ছেন। সময় বাঁচাতে রেললাইনের ওপর দিয়ে দ্রুত পারাপার হওয়া, কানে হেড ফোন দিয়ে রেললাইনে বসে আড্ডা দেয়া, সিগন্যাল অমান্য করা, সিগন্যালে দায়িত্বশীল লোক না থাকাসহ নানা কারণেই প্রায় সময়ই ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মানুষ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি-অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী বলেন, শুধুমাত্র ট্রেন দুর্ঘটনা নয়, সকল বিষয়ে রেলমন্ত্রীসহ উর্ধতন কর্তাদের নির্দেশনা রয়েছে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সবসময় সচেতন থাকার জন্য। গাড়ি চালকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। এতেই দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান জহিরুল ইসলাম বলেন, আরএনবি সচেতনতামুলক কর্মকান্ডের জন্য মাঠে রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ প্রচারণায় কাজ করছেন সদস্যরা।

জিআরপি ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা স্ব স্ব স্থান থেকে সতর্ক হলে আশা করি এমন ঘটনা ঘটবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর