বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

আইপিডি-সেভ দ্য চিলড্রেন সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকাসহ দেশের নগর এলাকায় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় স্কুল, খেলার মাঠ, হাঁটার জায়গা, সবুজ এলাকাসহ প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা অপ্রতুল। তাই শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) এবং সেভ দ্য চিলড্রেন আয়োজিত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শিশুবান্ধব ঢাকা : বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসমূহ নগরে না থাকার কারণে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে শিশুরা মাদকাসক্তি, মোবাইল ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আসক্তি, কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়াসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা মহানগরীর জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়কেন্দ্রিক মহল্লা পরিকল্পনা, ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন, এলাকাভিত্তিক পার্ক-খেলার মাঠ তৈরি ইত্যাদি প্রস্তাবনার কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের জন্য বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তোলা সম্ভব।

 এর জন্য স্থানীয় সরকার এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের কার্যকর উদ্যোগ, সঠিক প্রকল্প গ্রহণ, প্রয়োজনীয় অর্থায়ন ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর যদি তার মেয়াদকালীন সময়ে অন্তত একটি খেলার মাঠ বা পার্ক করার উদ্যোগ নিতে পারে তাহলেও ঢাকার উল্লেখযোগ্য উন্নতি সম্ভব।

রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এবারের ড্যাপে প্রস্তাবিত স্কুল জোনিংয়ের সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের হাঁটা দূরত্বে স্কুলের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে রাজউক পিপিপিসহ বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে মানসম্মত স্কুল প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করবে।

আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম, স্থপতি রোকসানা রশিদ, পরিকল্পনাবিদ খন্দকার নিয়াজ রহমান, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ও ড. ফরহাদুর রেজা।

সংলাপে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, সাভার, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী এলাকার শিশু কিশোরেরা বলে, আমাদের খেলার কোনো জায়গা নেই। চলাচলের জন্য নিরাপদ ফুটপাত নেই, সবুজ এলাকা বা খোলা জায়গার বড় অভাব। ঠাসাঠাসি করে বানানো ভবনগুলোতে বসবাস করার কারণে রুমের ভিতর সূর্যের আলো-বাতাস ঢুকতে না পারায় আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর