মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আড়াই বছরে সর্বনিম্ন লেনদেন পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে লেনদেন আবার তলানিতে নেমেছে। ফ্লোর প্রাইস আংশিক প্রত্যাহার করার পরও লেনদেন নেমেছে ২০০ কোটি টাকার নিচে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ১৯৮ কোটি টাকা। যা গত দুই বছর পাঁচ মাসে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ২০২০ সালের ৭ জুলাই। ওই দিন হাতবদল হয়েছিল ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২২৭ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার। সেটি ছিল ২০২০ সালের ১৬ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন লেনদেন। বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছিল ৩ পয়েন্ট। এক দিন পরই ১২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনে ২৫টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দরপতন হয় ১৩৭টির।  লেনদেন খরার বাজারে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০ টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর হয়েছে ১২০ টাকা ৩০ পয়সা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪১টির এবং ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দরপতন দেখা দিলে চলতি বছরের ২৮ জুলাই প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় বিএসইসি। এতে পুঁজিবাজারে দরপতন কিছুটা কমলেও দেখা দেয় লেনদেন খরা। সম্প্রতি লেনদেন খরা আরও প্রকট হয়। এতে ফ্লোর প্রাইসের সমালোচনা করে বিভিন্ন পক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে গত বুধবার ১৬৮ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর