রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের স্বপ্ন সরিষা ও মধুতে দোল খাচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার সাড়ে ১২ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলে হলুদে হলুদে ভরে গেছে এ অঞ্চলের খেতগুলো। ভাল ফলনের পাশাপাশি বেশি দাম পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। অনেকে সরিষা খেতে মধু চাষ করে বাড়তি আয় করছেন।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে,  রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট এবং নীলফামারী এই পাঁচ জেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৫২ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে  সরিষা চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর বেশি। এসব সরিষা খেতের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৪ হাজারের বেশি মৌমাছির বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে ৮ হাজার কেজি মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রতি কেজি মধু ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হলে ৪০ লাখ টাকার ওপর আয় হবে কৃষকদের। কৃষি অফিসের মতে, সরিষা খেতে মৌ বাক্স স্থাপন করা হলে ফলন ৩-৫ শতাংশ  বাড়ে। এ ছাড়া এসব জেলার বিভিন্ন আম বাগানে মৌ বাক্স স্থাপন করে আরও ৫ হাজার কেজি এবং বিভিন্ন লিচু বাগানে মৌ বাক্স স্থাপন করে অতিরিক্ত সাড়ে ৪ হাজার কেজি মধু উৎপন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে চাষকৃত সব সরিষা খেত এবং আম ও লিচু বাগানে পরিকল্পিতভাবে মৌচাষ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হলে, এসব উৎস থেকে প্রতি মৌসুমে মৌমাছির চাষ করে শত কোটি টাকার মধু উৎপাদন করা সম্ভব।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম জানান, চলতি মৌসুমে গত বছরের অনেক বেশি জমিতে সরিষার আবাদ ও মৌ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া রংপুর অঞ্চলে লিচু এবং আম বাগানসহ সরিষা খেতে মৌচাষ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরিষার খেতে মৌচাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।