বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরে বাড়ছে খাদ্য চাহিদা কমছে আবাদি জমি

নজরুল মৃধা, রংপুর

রংপুরে বাড়ছে খাদ্য চাহিদা কমছে আবাদি জমি

রংপুরে পাঁচ বছরে আবাদি জমি কমেছে ৩ হাজার ৪৮৪ হেক্টর। একই সময় জনসংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৮৩ জন। খাদ্যের চাহিদা বেড়েছে ২৭ হাজার ৫৯৪ মেট্রিক টন। পাঁচ বছরে খাদ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে মাত্র ২ হাজার ৭০৫ মেট্রিক টন। জেলায় মোট কৃষকের পাঁচ ভাগের এক ভাগই ভূমিহীন কৃষক। জেলায় বড় কৃষকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। জেলায় মাত্র ৬ হাজার বড় কৃষক রয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে জেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১ হাজার ৪৯১ হেক্টর। বর্তমান জমির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭ হেক্টরে। পাঁচ বছর আগে জেলার জনসংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৭২ হাজার ১০৬ জন। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ২৬ হাজার ২৮৯ জন। উৎপাদন ছিল ১০ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৯ মেট্রিক টন। বার্ষিক চাহিদা ছিল ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৯০৪ মেট্রিক টন। চাহিদা মিটিয়ে খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত ছিল ৪ লাখ ১ হাজার ৫৫০ টন। পাঁচ বছর পর চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯৮ টন। উৎপাদন কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ টন। উদ্বৃত্ত ৪ লাখ ৪ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন। দেখা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন তেমন একটা বাড়েনি। এ ছাড়া উদ্বৃত্ত ফসল আনুপাতিক হারে তেমন একটা বাড়েনি। একসময় রংপুরের উদ্বৃত্ত ফসল দিয়ে দেশের অন্যান্য জেলার চাহিদা মেটানো হতো। বর্তমানে যে ফসল উৎপাদন হয় তা দিয়ে জেলার ৩২ লাখ মানুষের চাহিদা মিটলেও প্রতি বছরই আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। ফলে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাদ্যশস্য জোগান দেওয়া সম্ভব হলেও আগামীতে এই জেলায় খাদ্য উদ্বৃত্ত নাও থাকতে পারে এমনটা শঙ্কা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। সূত্রমতে জেলায় শিক্ষিতের হার ৬৫ শতাংশ। কৃষক পরিবার ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১২৯টি। ভূমিহীন কৃষক পরিবার রয়েছে ৯৫ হাজার ১৪০ জন। প্রান্তিক কৃষক ২ লাখ ৪ হাজার ৪৯০ জন। ক্ষুদ্র কৃষক ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭৩ জন। মাঝারি কৃষক ৫০ হাজার ৭৫৪ জন। বড় কৃষক ৬ হাজার ৭৪ জন। জেলায় এক ফসলি জমি রয়েছে ৮ হাজার ৭৭৩ হেক্টর, দুই ফসলি ৮৭ হাজার ৪৭২ হেক্টর, তিন ফসলি ৯২ হাজার ৮৩২ হেক্টর, চার ফসলি ৮ হাজার ৯৬০ হেক্টর। নিট ফসলি জমি রয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৩৩ হেক্টর।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, ফসলের নিবিড়তা, হাইব্রিড জাতের চাষাবাদ, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, আধুনিক চাষাবাদ সম্পর্কে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ফসল উদ্বৃত্ত থাকছে।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর