বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্য দিতে আসেননি ঝরনার ছেলে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নবম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে। তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য চারজনকে সমন দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মামলার বাদী কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝরনার ছেলে আবদুর রহমানের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্টপুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। এরপর মামুনুল হককে আবার কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছিল।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামুনুল হকের বিপরীতে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝরনার ছেলে আবদুর রহমান ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। এর মধ্যে ঝরনার ছেলে আবদুর রহমান সাক্ষ্য দিতে আসেননি। একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও অপরজন ঝরনার ঢাকার বাড়ির বাড়িওয়ালা সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তিনি জানান, সাক্ষীদের আদালতে দেওয়া জবানবন্দির সঙ্গে জেরার মিল পাওয়া যায়নি। অনেক ক্ষেত্রেই অসংলগ্নতা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝরনা নামে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ছাড়া ওই দিন সোনারগাঁয়ে ব্যাপক ভাঙচুর তাণ্ডব চালান তার কর্মী-সমর্থকরা। তবে ঝরনাকে মামুনুল হক তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে এলেও কোনো কাবিননামা বা বিয়ের শরিয়তসম্মত দুজন সাক্ষী বা কাজী দেখাতে পারেননি। পরে এ ঘটনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন কথিত স্ত্রী ঝরনা। ওই বছর ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝরনার সাক্ষ্য নেন আদালত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর