শিরোনাম
শনিবার, ৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাজার দর

লাগামহীন কাঁচাবাজার বেড়েছে মসলার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

লাগামহীন কাঁচাবাজার বেড়েছে মসলার দাম

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম সীমাহীনভাবে বেড়েছে। সবজির বাজার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় মাছ, মাংস ও মসলার দাম লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জনজীবনে তীব্র অস্বস্তি নেমে এসেছে। শনির আখড়া বাজারে গতকাল দেখা গেছে, পেপে, লাউ, বড় ও ছোট করলা, লতি, বরবটি, ধুন্দল, সজনে এবং কাঁকরোলসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। যদিও অন্যান্য সবজির দাম আগের মতোই আছে। দেখা গেছে, প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়, বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। পেপে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫-৪০ টাকা। প্রতি কেজি লতি, করলা, উস্তা, চিচিঙ্গা, বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়া প্রতি পিস কাঁচা ৫০ এবং পাকা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। লেবুর হালি ৩৫-৪০ টাকা। সব ধরনের শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকায়। শনির আখড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা হামিদ উল্লা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা যারা খুচরা ব্যবসায়ী আছি, আমাদের বাধ্য হয় বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। মানুষ সবজি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। দাম বাড়ায় ক্রেতারা কম করে সবজি কিনছেন। দাম বাড়লেও আমাদের আগের মতো ব্যবসা হয় না। মসলার বাজারে দেখা গেছে, দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। আমদানি করা পিঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ পিঁয়াচের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। দেশি নতুন রসুনের দাম কেজিপ্রতি ১৩০-১৮০ টাকা, যা এক মাস আগেও ছিল মাত্র ৮০ থেকে ১২০ টাকা। সে হিসেবে রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আদার দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায় এবং চায়না বা আমদানি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়। শুকনা মরিচ ইন্ডিয়ান প্রতি কেজি ৪২০ টাকা এবং দেশি শুকনা মরিচ প্রতি কেজির দাম ৩৭০ টাকা। হলুদ গুঁড়া কেজি ২৫০ টাকা, গুঁড়া মরিচ কেজি ৪৫০ টাকা, ধনিয়া প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল ও ডালের বাজারে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আঠাইশ চাল ৫৫ টাকা, মিনিকেট চাল ৭২, গুটি স্বর্ণা চাল ৫০, নাজির শাইল ৮০ টাকা, পাইজাম চাল ৫৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল দেশি প্রতি কেজি ১২৫-১৩৫ টাকা এবং আমদানি মসুর ডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এঙ্কর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং মুগ ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ২২০ টাকা, লাল মুরগি ৩৫০ টাকা। বড় সাইজের সোনালি এবং কক মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। দেশি পাতি হাঁস প্রতিটি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি হাড়সহ ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি খাসির মাংসের দাম এখন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। ছাগলের মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের রুই মাছের দাম ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। কাতল মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। কাঁচকি মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০-৭০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাক কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, সিলভার কাপ ২০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে বাজার ভেদে ৪৫০ টাকা, কার্ফু মাছের কেজি ২৫০ থেকে বাজার ভেদে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আধা কেজি ওজনের বেশি ইলিশের দাম ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এক কেজি বা তার ওপরের ওজনের ইলিশের দাম হয়েছে ১৬০০ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর