দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গতকাল এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবায় মেডিটেশন অন্তর্ভুক্ত করা হলে জনগণের চিকিৎসা ব্যয় অনেক কমে আসবে। অসংক্রামক বিভিন্ন রোগ ও অসুস্থতা থেকে রোগী সহজেই নিরাময় লাভ করবে। দেশবরেণ্য চিকিৎসকরা উদ্বেগ, বিষণ্নতা, স্ট্রেস, অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ চিকিৎসার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনকে অন্তর্ভুক্ত করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এ স্বীকৃতি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। চিকিৎসাশাস্ত্রের কারিকুলামেও মেডিটেশন বিষয়কে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান তারা। সেমিনারে ৪ শতাধিক চিকিৎসক অংশ নেন। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে মেডিটেশনের অন্তর্ভুক্তি : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ আহ্বান জানান চিকিৎসকরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান এবং মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ। সেমিনারে ‘চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে মেডিটেশন’ শিরোনামে একটি ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ডা. শাহলা খাতুন বলেন, মেডিটেশনের মাধ্যমে ভালো চিন্তা জিনকেও বদলে দিতে পারে।