বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশে লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। আর লুটপাটের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ খাতকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি অতি দ্রুত রসাতলে যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা : লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি সমর্থক প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) এই আলোচনার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহাসচিব প্রকৌশলী হাছিন আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, প্রফেসর লুৎফুর রহমান, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রেন্টাল, কুইক রেন্টাল আর ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে বিদ্যুৎ খাতে বাজে অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। কয়েকটা কোম্পানির মালিক সরাসরি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত, সিংহভাগ অর্থ তারাই নিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের পকেটের টাকা লুট করে বিদেশে বিনিয়োগ করছেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া দিতে দিতে ঋণের বোঝা বাড়ছে। ভবিষ্যতে দেশ এ বোঝা বহন করতে পারবে বলে কোনো অর্থনীতিবিদ মনে করেন না। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশে একটা উন্নয়ন বিভ্রম সৃষ্টি করা হয়েছে। শুধু গলার জোরে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো আছে’ এ কথাটা প্রতিষ্ঠিত করতে চায় সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পরিবর্তন না হলে চুরি, দুর্নীতি বন্ধ হবে না। এ জন্য জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসার কথা বলা হচ্ছে। অথচ আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার শুরু হয়েছে। ৪০ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। বিশ্বে এমন নজির আর কোথাও নেই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অসম্ভব। ১৯৯৬ সালে এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বারবার বলেছেন। ন্যাড়া বারবার বেলতলায় যায় না। দিনের ভোট রাতে করার, ভোট চুরির এমন নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ আর পা দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।