শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রংপুরে, নাজেহাল মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় নাজেহাল রংপুরের মানুষ। তীব্র দাবদাহের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। প্রখর তাপে ভাইরাসজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দিয়েছে ঘরে ঘরে। এ ছাড়া বিদ্যুতের নাজুক অবস্থার কারণে নাকাল হয়ে পড়েছে মানুষ। শহরেও বেড়েছে হাতপাখার কদর।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ৩টায় রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল চলতি বছরের সর্বোচ্চ। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচ- গরমে গত কয়েক দিন ধরে শ্রমজীবী মানুষ মাঠে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আবহাওয়ার এই বৈরী আচরণে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে রোগবালাই। গত কয়েক দিন ধরে রংপুরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এ কারণে প্রচ- গরম অনুভূত হচ্ছে। এদিকে প্রচ- রোদে খাঁ খাঁ করছে চারদিক। রংপুর শহরে দুপুরবেলা ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত রিকশাচালকদের লাইন ধরে গাছতলায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। কষ্টের সঙ্গে রিকশাচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রচ- রোদের কারণে রিকশায় কেউ উঠছে না। তাই আয় নেই। অন্যদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, এমন আবহাওয়ায় হিটস্ট্রোক, চর্মরোগসহ শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ গরমকে ঘিরে রংপুর শহরের ফুটপাতগুলোতে তালপাখাসহ বাঁশ, কাপড় ও সুতার তৈরি বিভিন্ন ধরনের হাতপাখার পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। ১০ টাকার হাতপাখা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। কয়েক দিন ধরে হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন লোকজন। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে মাঠে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা হাঁপিয়ে উঠছেন প্রচ- গরমে। প্রখর রোদ আর গরমের কারণে মাঠ ছিল অনেকটাই জনশূন্য। কাজ বাদ দিয়ে জীবন বাঁচাতে শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষকে বাঁশঝাড় কিংবা গাছতলায় পাতানো মাচায় বিশ্রাম নিতে দেখা যায়।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গতকাল বেলা ৩টায় রংপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ। এ ধরনের আবহাওয়া আরও কয়েক দিন থাকবে বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর