‘নতুন বাংলাদেশে জনপ্রত্যাশা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সামাজিক সংগঠন নাগরিক বিকাশ ও কল্যাণ (নাবিক) বলেছে, নাগরিকের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান অনেকাংশে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সংবিধান অপ্রতুল। তাই বর্তমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নাবিক সভাপতি শিহাব উদ্দিন খান। আলোচ্য বিষয়ে ধারণাপত্র পাঠ করেন নাবিকের সহসভাপতি বুরহান উদ্দিন ফয়সল। ধারণাপত্রে পাঁচটি দাবি তোলা হয়। নাবিকের দাবিগুলোর সঙ্গে একমত জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, ছাত্র আন্দোলনে পরিবর্তন আনা সহজ, সবার দায়িত্ব এই পরিবর্তনকে ধরে রাখা। এর জন্য ভ্যানগার্ড হতে হবে ছাত্রদেরই। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলব, প্রত্যেক উপদেষ্টার পেছনে আলাদা টিম থাকতে হবে ছাত্রদের।
তারা ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন কি না সেটির জন্য। প্রশাসনে তল্পিবাহক যারা ছিলেন, প্রধান পদগুলো থেকে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ভালো কাজগুলো আগে করতে হবে। উপযুক্ত লোককে, আদর্শবান লোককে নিয়োগ দিতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
কর্নেল অব. আবদুল হক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রথম কাজ হবে শহীদদের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। শহীদ প্রত্যেকের পরিবারে চাকরি দিতে হবে। যারা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, তাদের দিকে নজর দিতে হবে। অন্যায়-অবিচার যারা করেছে, তাদের বিচার করতে হবে। পুরো পুলিশ বাহিনী দুর্নীতিগ্রস্ত। পুলিশ বাহিনী সঠিক হলে ৯০ শতাংশ মামলা কমে যেত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেন, চারদিকে এখন শুধু ষড়যন্ত্রের গন্ধ। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার প্রত্যেকটা সেক্টরে নিজের লোক বসিয়ে রেখেছে।
আলোচনায় অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ মুদ্দাসসির চৌধুরী, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসদার হোসেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া) সাবেক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ইকতেদার আহমেদ, জেলা জজ (অব.) বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ আলম, মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক কর্নেল (অব.) আবদুল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ, চট্টগ্রামের সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুর রহমান, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী সৈয়দ জাহিদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুসতাসীম তানজীর ও স্থপতি মারুফ হোসাইন। আরও ছিলেন ব্র?্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইমুম রেজা পিয়াস।