চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানা ধরনের জঘন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। প্রতিবেশী একটি দেশের কতিপয় গণমাধ্যম কর্তৃক অব্যাহত অপপ্রচার আর উসকানির সঙ্গে পতিত হাসিনা সরকারের এ দেশীয় এজেন্টরা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থানের অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য সাম্প্রদায়িক কার্ড নিয়ে মাঠে নেমেছে। পতিত সরকারের সময়ও তারা এ কার্ড ব্যবস্থা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের সহায়-সম্পত্তি লুট করেছিল। আর এখন রাজনৈতিক পুনবার্সনের পথ নিষ্কণ্টক করতে শান্তিপ্রিয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মিছিল-সমাবেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের চিহ্নিত খুনি, সন্ত্রাসীদের সংখ্যালঘুর মুখোশে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নৈরাজ্য ও আতঙ্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। গতকাল ‘আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান’ পরবর্তী চট্টগ্রামের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নগরীর লালখান বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মহানগর বিএনপির মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সৈয়দ আজম উদ্দিন, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, নিয়াজ মো. খান, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।
তিনি বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ ধরনের গণবিপ্লব-পরবর্তী কিছু বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য আর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয় না। তবে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, যেভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল তার ছিটেফোঁটাও সংঘটিত হয়নি। বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভানবোনদের সক্রিয় পদক্ষেপ আর নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের যথাসাধ্য প্রয়াসে দেশ বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে।