খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সড়ক মেরামত ও ড্রেনেজ উন্নয়ন প্রকল্পের ৩৩টি কাজের ঠিকাদার আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে এসব কাজ ৫ আগস্টের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে সড়কে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
এদিকে বন্ধ হওয়া কাজের গতি ফেরাতে ইতোমধ্যে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত ও আটটি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। ২০-৭০ ভাগ কাজ বাস্তবায়নের পর কার্যক্রম বন্ধ রাখে। জানা যায়, খুলনা নগরীতে বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ১২২টি সড়ক মেরামত ও ড্রেনেজ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। যার সাকল্যে ব্যয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সিটি মেয়রের ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ঠিকাদাররা প্রভাব বিস্তার করে সিটি করপোরেশনের বেশির ভাগ কাজ বাগিয়ে নিতেন। এখন সরকার পতনের পর তারা কাজ বন্ধ রেখে আত্মগোপনে রয়েছেন।
কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই করিমনগর ড্রেন নির্মাণকাজ বন্ধ রাখায় জিয়াউল ট্রেডার্স ও বিআইডিসি রোডের কাজ বন্ধ রাখায় হোসেন ট্রেডার্সকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষেত্রখালী খাল খনন ও পাড় বাঁধাই, শান্তিনগর ড্রেন নির্মাণ, সুরিখালে ড্রেন নির্মাণ, সোনাডাঙ্গা তৃতীয় ফেজের ১ নম্বর রোড, খানজাহান আলী রোডের ড্রেন নির্মাণ, খালিশপুর ১৮ নম্বর রোড উন্নয়ন, বয়রা মেইন রোড উন্নয়ন, জাহিদুর রহমান রোড উন্নয়ন, টুটপাড়া মেইন রোড উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। প্রাথমিক তালিকায় বন্ধ থাকা ১২টি কাজের মধ্যে ৪টির ঠিকাদার জিয়াউল ট্রেডার্স। বাকি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জামাল এন্টারপ্রাইজ, মা ইন্টারপ্রাইজ, আজাদ-তাজুল (জেভি), শাহীদ এন্টারপ্রাইজ, তাজুল ইসলাম, আবুল হোসেন ও দি আজাদ ইঞ্জিনিয়ার্স।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, জনভোগান্তি কমাতে চলমান কাজ দ্রুতই শেষ করা হচ্ছে। যেসব কাজ ঠিকাদাররা অনুপস্থিত থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শুরু না করলে চুক্তি বাতিল করা হবে।