রাষ্ট্র, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চেয়ে গ্রেপ্তার আনসার সদস্যদের মুক্তি দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভুক্তভোগী আনসার সদস্যদের পরিবার’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি করেন। সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনে অংশ নিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা আনসারদের আত্মীয় ও পরিবারের অর্ধশতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
এ সময় তাদের ‘২৫ আগস্ট সচিবালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য সাধারণ আনসার সদস্যদের পরিবারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র, শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি’, ‘গ্রেপ্তার আনসারদের পুনরায় চাকরিতে বহাল চাই’, ‘গ্রেপ্তার আনসারদের বেতন-ভাতা ও রেশন পরিশোধ করো’, ‘গ্রেপ্তার আনসারদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই’, ‘জাস্টিস ডিলেড, জাস্টিস ডিনাইড’সহ বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
আনসার আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ডদের শাস্তির মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানান জয়পুরহাট থেকে আসা মো. শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার বোনজামাই আবু নাসের কারাগারে আছেন। যারা প্রকৃত দোষী তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হোক। তারা একেবারেই সাধারণ আনসার সদস্য। তাদের আটক করে কোনো লাভ নেই। বরং তাদের পরিবারের সদস্যরা কষ্টকর জীবন যাপন করছে। তাই আমরা ক্ষমা চাচ্ছি। সরকারপ্রধানের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি তিনি যেন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।’
২৬ আগস্ট চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করেন আনসার সদস্যরা। পরে ভাঙচুর এবং শিক্ষার্থী ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকার চার থানায় মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় এজাহারনামীয় ৪২৬, অজ্ঞাতনামাসহ ১০ হাজার আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তারও করা হয় অনেক আনসার সদস্যকে।