দেশের কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার টন বিভিন্ন ধরনের সার ক্রয় ও ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক স্তরের (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির) পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের জন্য পাঁচটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৮৫ কোটি ২৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৭ টাকা।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে গতকাল অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সভায় শিল্প মন্ত্রণায়ের উপস্থাপিত কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় কমিটি। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই সার ক্রয় করা হবে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫.৪০ লাখ টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি টন ৩২৫.২৫ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৯৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ইউরিয়া সার ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩২ লাখ টন। তার মধ্যে কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫.৪০ লাখ টন ক্রয় করা হবে। প্রতি লটে ক্রয় করা হবে ৩০ হাজার টন।
এ ছাড়া সভায় ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক স্তরের (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির) পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দেশের সব শিক্ষার্থীর কাছে যথাসময়ে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির) পাঠ্যপুস্তক ২০টি প্যাকেজে ৯৮টি লটের মধ্যে ৮৮টি লটের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪৭ কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৭ টাকা।
সভায় অপর তিনটি ক্রয়প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ১ লাখ ১০ হাজার টন সার আমদানি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রোডিংটন’ রাশিয়া ও বিএডিসির সঙ্গে চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানিতে প্রতি টনের দাম ২৮৫ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কানাডা থেকে ৪০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রতি টনের দাম ২৮৫ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন ডিপিএ সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় প্রতি টনের দাম ৫৮৫ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ৮০ লাখ টাকা।