জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, নকশা পরিবর্তন ও নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে আটকে গেছে খুলনার ভৈরব সেতুর নির্মাণ কাজ। ২০২৪ সালের জুনে নির্মাণ কাজে মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত অগ্রগতি ১৫ শতাংশ। ২৮টি পিলারের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ২০টির। দ্বিতীয় দফায় ২০২৬ সালে জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলেও জমি অধিগ্রহণ না হওয়ার অজুহাতে নির্মাণ কাজে অনীহা দেখাচ্ছে ঠিকাদার। তবে ২৮ দিনের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু না করলে দরপত্রে চুক্তি বাতিলে আলটিমেটাম দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই ২০২১ সালে ২৪ মে খুলনার রেলগেটে ভৈরব সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে প্রথম দফায় দীঘলিয়া প্রান্তে কয়েকটি পিলার নির্মাণের পর কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। এরপর ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। নির্মাণ কাজ শুরুর তিন বছর পর নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। নতুন নকশায় কংক্রিটের পরিবর্তে আর্চ স্টিলের সেতু নির্মাণের কথা বলা হয়।
একই সঙ্গে সেতুতে পাশাপাশি দ্রুতগতির ও ধীরগতির যান চলাচলে প্রশস্ততা বৃদ্ধিতে ১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের নকশায় সংশোধন আনা হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লি. ২০২৪ সালের মে মাস থেকে কাজ বন্ধ রাখে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সাইট ইঞ্জিনিয়ার আজিজুর রহমান জানান, শহরাংশে রেলগেট থেকে দৌলতপুর মহসিন মোড় পর্যন্ত রেলের জমি অধিকরণ করা হয়নি। কাজ শুরুর পর সেতুর নকশায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এদিকে দফায় দফায় নির্মাণ উপকরণের দাম বাড়ছে। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১৮ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে ঢালাইয়ের প্রস্তুতির জন্য ৮-১০ জন শ্রমিক কাজ করছে।
তবে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সেতুর এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। ঠিকাদার চাইলেই সেখানে কাজ করতে পারত। কিন্তু তারা কোনো কারণ ছাড়াই আট মাস কাজ বন্ধ রেখেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৮ দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এই সময়ে তারা কাজ শুরু না করলে দরপত্রের চুক্তি বাতিল করা হবে। তবে গত সপ্তাহে তারা কাজ শুরু করেছে বলে জেনেছি।