দেশে নারী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার। এই দুই ক্যান্সারে প্রতি বছর ১১ হাজার ৭৫৪ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে ৪ হাজার ৯৭১ জন এবং ৬ হাজার ৭৮৩ জন স্তন ক্যান্সারে মারা যান। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সচেতনা বৃদ্ধি, নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং টিকাদান কর্মসূচি জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বিএসএমএমইউ-তে ‘জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ সপ্তাহ ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বক্তারা। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞু অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, স্তন ক্যান্সার ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন নেওয়ার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্তন ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য সিবিই, জরায়ুমুখ ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য ভায়া টেস্ট করা অত্যন্ত জরুরি। সঙ্গে সঙ্গে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে নারীদের ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি জানান, বিশ্বে নারীদের যত ধরনের ক্যান্সার হয় তার মধ্যে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার অন্যতম। দেশে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই এসব রোগের চিকিৎসাসুবিধা সীমিত ও ব্যয়বহুল। প্রাথমিক পর্যায়ে জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।
গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ত্রিশোর্ধ বয়সী নারী রয়েছেন প্রায় ৩ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার জন। এ হিসেবে দেশে অন্তত ৬ লাখ ৫৫ হাজার থেকে ৯ লাখ ৮২ হাজারের মতো নারী ক্যান্সারপূর্ব/ক্যান্সার আক্রান্ত আছেন। জরায়ুমুখ ক্যান্সার কমানোর জন্য ক্যান্সার পূর্বাবস্থা/ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের খুঁজে বের করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এস্টাবলিশমেন্ট অব ন্যাশনাল সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল অ্যান্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রেনিং অ্যাট বিএসএমএমইউ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শিরিন আক্তার বেগম, অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস, অধ্যাপক ডা. ফওজিয়া হোসেনসহ অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগ, ফিটোম্যাটানাল মেডিসিন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীরা।