সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর আখ্যা দিয়ে তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবি উঠেছে। বিএনপি সমর্থিত আইনজীবদের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম’ এ দাবি উত্থাপন করেছে। এজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দাবির স্বপক্ষে সারা দেশের আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে আগামী ২৯ এপ্রিল সারা দেশের সব জেলা বারে আইনজীবীদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হবে। এরপরও দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী সময় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব। এ সময় ফোরামের মহাসচিব আইনজীবী কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দস কাজল ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। অজ্ঞাত কারণে অদ্যাবধি তাকে গ্রেপ্তার বা বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। অথচ তার বিচার বাংলাদেশের জনগণের গণদাবি। এ ক্ষেত্রে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগই এখন পর্যন্ত নেয়নি।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণাকারী বিচারপতিও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অথচ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা ছিল তাদের প্রত্যেকের সাংবিধানিক অধিকার। আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনি বৈতরণী পার করানোই ছিল এসব বিচারপতির মূল উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষায় আমরা অবিলম্বে উচ্চ আদালত এবং নিম্ন আদালতে ফ্যাসিবাদের দোসর ও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ বিচারকদের অপসারণ দাবি জানান জয়নুল আবেদীন।