আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, প্রফেসর ড. ইউনূস যে ডেডলাইন দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে জুন, এটা যথেষ্ট যৌক্তিক। ইন্টারন্যাশনালি উনি যে কথাটা দিয়েছেন, তার ইমেজের কারণে তিনি ওই ওয়াদা থেকে ফিরে আসবেন এটা আমি বিশ্বাস করি না।
এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীতে র্যালি শেষে বরিশাল প্রেস ক্লাবের তিন তলা মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ওনাকে (ড. ইউনূস) সন্দেহ করার কোনো জায়গা আমাদের কাছে নেই। অতএব, এ রোডম্যাপের ওপর আমরা ভরসা রাখতে চাই। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ডায়ালগ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে কন্টিনিউয়াসলি রাজনৈতিক দল অংশীজনের সবার সঙ্গে কথা বলা দরকার, যাতে আমাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি কমে যায়। তিনি বলেন, নির্বাচন, সংস্কার, বিচার এর কোনোটার সঙ্গে কোনোটার কোনো সাংঘর্ষিক বাস্তবতা নেই। পুরোটা মিলিয়ে গণ অভ্যুত্থান। গণ অভ্যুত্থানের পক্ষ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো, যারা ১৭-১৮ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনের দাবি করছে। রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যেতে চাইবে জনগণের মতামত নিয়ে, সে নির্বাচন চাইবে এটা যৌক্তিক এবং এটা হাজার বার চাওয়াটাও যৌক্তিক। আর এটা করলে তাদেরকে ট্রল করা, হেয় করাটা একদম অনৈতিক। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২০ বছরে কোনো নির্বাচন করেনি। এ নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা কতটুকু আমরা জানি না। অতএব স্থানীয় প্রশাসন নির্বাচন করার মাধ্যমেই অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা সক্ষমতা এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা সক্ষমতা যাচাই করার একটা সুযোগ আছে।
মিয়ানমার করিডর নিয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘ যদি কোনো মানবিক করিডর চায় তাহলে বাংলাদেশে সরকার দিতে পারে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি বিষয় নিয়ে গণ অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলো নিয়ে পরামর্শ করে সিদ্ধান্তটা নেওয়া দরকার। আমরা দুনিয়ার বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় দেখেছি মানবিক করিডর দিন শেষে আর মানবিক থাকে না। অমানবিক, সামরিক হয়ে যায়। গৃহযুদ্ধ তৈরি হয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে এ বিষয়ে সিরিয়াসলি পরামর্শ করা দরকার এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।