ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। তবে এখনো জমে ওঠেনি রাজশাহীর ঐতিহ্য রেশমপল্লিসহ বড় বড় শপিংমলগুলো। ব্যবসাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৩০ বছরে ঈদবাজারে এমন স্থবিরতা দেখা যায়নি। এজন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল না থাকাকে দায়ী করছেন তারা।
ঈদুল আজহা সামনে রেখে ব্যস্ততার কমতি নেই কারিগরদের। দিনরাত এক করে তৈরি করছেন রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রেশমি পোশাক। তবে কারখানার ব্যস্ততার ঠিক উল্টো চিত্র বিপণিবিতান ও সিল্কের শোরুমগুলোয়। থরে থরে সাজানো রং-বেরঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, জামা, ফতুয়া এবং শিশুদের পোশাক। তার পরও দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার। দিনের অধিকাংশ সময়ই অলস বসে থাকছেন ব্যবসায়ীরা।
বিক্রেতাদের দাবি, আগের তুলনায় অনেক কমেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে ঈদবাণিজ্যে। ক্রেতা টানতে ২০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় দিলেও নেই কাঙ্ক্ষিত বিক্রি। গত ৩০ বছরেও এমন পরিস্থিতি হয়নি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। সপুরা সিল্কের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান বলেন, ‘দুই ঈদকে ঘিরে তারা ব্যবসা ভালো করতেন। সেজন্য বিভিন্ন বৈচিত্র্যের পোশাক তৈরি করেন। এবারও করেছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা নেই। কোনো ঈদে ব্যবসার এমন হাল দেখিনি।’ উষা সিল্কের ব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান অপু বলেন, ‘ব্যবসা নেই বললেই চলে। ছাড় দিয়েও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকে তারা ২০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছেন।’
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘সব ব্যবসার অবস্থাই খারাপ। মানুষের কাজ নেই, ব্যবসা নেই। পকেটে টাকা না থাকলে মানুষ কেনাকাটা করতে যাবে কীভাবে? মানুষকে আস্থার জায়গায় ফেরাতে হবে। না হলে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামবে।’