পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট, আর্থিক লেনদেন, জনসমাগম এবং অনলাইন লেনদেন ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব। দেশের শপিং মলগুলোতে থাকবে র্যাবের বিশেষ নজরদারি। বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসা নারীদের হয়রানি ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ঈদ উপলক্ষে নেওয়া র্যাবের পদক্ষেপগুলো গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী। ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, ঈদ কেন্দ্র করে পশুর হাটে জাল টাকা ছড়ানোর আশঙ্কা থাকায় র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করেছে। হাটে র্যাব কন্ট্রোল রুমে বসানো হয়েছে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন, যেখানে সাধারণ জনগণ সেবা নিতে পারবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, প্রতারণা, দালাল, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধে র্যাব মোতায়েন করছে বিশেষ টহল ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্য। একই সঙ্গে নারীদের উত্ত্যক্ত করার মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে মোবাইল কোর্ট চালানো হবে। র্যাব জানায়, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ বা অসুস্থ গবাদি পশুর বিরুদ্ধেও নজরদারি চলছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি হাটের হাসিল নির্ধারিত তালিকায় প্রদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে এবং অতিরিক্ত হাসিল আদায় ঠেকাতে র্যাবের তৎপরতা চলমান থাকবে। বর্তমানে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচা বাড়ায় প্রতারণা ঠেকাতে র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। প্রতারণার শিকার হলে র্যাব কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়।