পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর জাতীয় নির্বাচন করা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আমরা করছি। তাই বড় কোনো মেগা প্রকল্প হাতে নিতে পারছি না। তবে অল্প সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য প্রকল্পগুলো আমরা অনুমোদন দিচ্ছি। এ ছাড়া দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অন্তত শুরু করার চেষ্টা করছি। গতকাল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থা, উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহানের সভাপতিত্বে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম জনসংখ্যায় বড় হয়েছে, সুযোগ-সুবিধায় বড় হয়নি। সমস্যা রয়েই গেছে। এ নগরীকে আরও সুন্দর ও বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যেত। তবে তা করা হয়নি। অনেক সমস্যা ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় রয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি নগরীর জলাবদ্ধতা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার সংকট, খাল-নালা ভরাট ও সেগুলো পরিষ্কার না করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাহাড় কাটা, পাহাড় ধস, অপরিকল্পিত নগরায়ণ প্রভৃতি সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। নগরীর বহদ্দারহাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ফ্লাইওভারের নিচের অংশ সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অংশে বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে পরিবেশ সমুন্নত ও সৌন্দর্যবর্ধন করতে হবে। গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। পরে তিনি সেবা সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের কাছে তাদের প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা, অর্থ ব্যয় ও সমস্যাদি জানতে চান। পাশাপাশি যেসব নতুন প্রকল্প কয়েক মাসের মধ্যে শুরু করা যাবে সেগুলো সম্পর্কে সভায় তুলে ধরা ও মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দেন। সভায় নিজের বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সিটি গভর্নমেন্ট বা নগর সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।