রংপুরের হারাগাছে বাড়ি রমজান আলীর। তিনি শহরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাঁর ছেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তাঁর এলাকা পল্লী বিদ্যুতের আওতায়। কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস মানুষের। এ দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। দিনে যেমন তেমন, রাতের অবস্থা ভয়াবহ। রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে তাঁর ছেলের লেখাপড়ার মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। পরীক্ষায় ভালো ফল নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায়। তাঁর মতো এ অবস্থার শিকার উত্তরাঞ্চলের ২০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ কোটি গ্রাহক। লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকে মাংসসহ অন্যান্য জিনিস ফ্রিজে রাখতে পারছেন না। অনেকে অভিযোগ করছেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো বলছে, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি সমিতির আওতায় গড়ে ৫ থেকে ৭ লাখ পর্যন্ত গ্রাহক। প্রতিটি সমিতিতে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ১০৫ থেকে ১২৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমানে চাহিদার তুলনায় ২৫ থেকে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে সমিতিগুলো।
রংপুরের শঠিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় গ্রাহক রয়েছে ৬ লাখের ওপর। এ সমিতিতে প্রতিদিনের চাহিদা ১২৬ মেগাওয়াট। কিন্তু বর্তমানে বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ মেগাওয়াট।
শঠিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মো. আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, ‘দিনের বেলা তেমন একটা লোডশেডিং থাকে না। রাতে একটু সমস্যা হচ্ছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে।’