খুলনায় নিয়ন্ত্রণহীন টার্গেট কিলিংয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। মাদকের টাকা ভাগাভাগি, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে চরমপন্থি নেতা শাহাদাত হোসেনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি নিষিদ্ধ চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুই পুলিশ খুনসহ একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। প্রায় ২০ বছর কারাগারে থাকার পর তিনি সম্প্রতি জামিনে বের হন। দুর্বৃত্তরা তাকে ধাওয়া দিয়ে শেখপাড়া সঙ্গিতা সিনেমা হলের সামনে এক দোকানের ভিতরে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। এর আগে ১ আগস্ট রাতে সোনাডাঙ্গা সবুজবাগ এলাকায় ঘরে ঢুকে মনোয়ার হোসেন টগর, ২ আগস্ট দিঘলিয়ার বারাকপুর গ্রামে আলামিন সিকদার ও ৩ আগস্ট রাতে মহেশ্বরপাশায় ঘের ব্যবসায়ী আলামিনকে গলা কেটে খুন করে দুর্বৃত্তরা। নাগরিক নেতারা বলছেন, একের পর এক হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে।
জানা যায়, গত ১১ মাসে নগরীতে ৩০টির বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মাদক আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে হত্যা-পাল্টা হত্যার ঘটনা। মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) খন্দকার হোসেন আহমেদ জানান, অপরাধীদের গতিবিধি নজরদারিতে রয়েছে। ট্রার্গেট কিলিং নিযন্ত্রণ পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে তালিকার কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।